গারোদের বর্তমান জনসংখ্যাঃ
বিগত আদম শুমারীসমূহে
দেশের আদিবাসীদেরকে আলাদাভাবে গনণা করা হয়নি বা দেখানো হয়নি। তাই বাংলাদেশের
খ্রীষ্টিয়ান মিশনারী কিংবা এলাকায় কর্মরত বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থাসমূহের তথ্য ছাড়া
গত্যন্তর নেই। বর্তমানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের অবস্থা এবং তাদের
জনসংখ্যা মোটেও সন্তোষজনক নয়। বিভিন্ন সূত্রমতে, ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা, ভালুকা, ফুলবাড়িয়া, ফুলপুর,
হালুয়াঘাট, জামালপুর জেলার
শোলাকুড়ি, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী, নকলা, নালিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতি,
বখশিগঞ্জ, টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল, মধুপুর, নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা, দুর্গাপুর, কলমাকান্দা
এবং সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর, সুনামগঞ্জ প্রভৃতি এলাকায় ছিল গারো, হাজং,
কোচ, বানাই, ডালু
আদিবাসীদের। ১৯৫০ ও ১৯৬৪ তে রায়ট হয়। সে সময় ট্রাক ভরে ফুলপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ভালুকা, গফরগাওঁ থেকে পাকিস্তানি সরকার লোক এনে
হালুয়াঘাটের রাস্তার ফেলে যায়। ওরা তখন গারো, হাজং, বানাই
ও ডালুদের বাড়ি দখল করে নেয়। শুধুমাত্র আবিমাঞ্চলথেকেই (মধুপুর) ২৭টা মান্দি
গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এখনও মান্দিদের ঘরবাড়ি বসতভিটা কেড়ে নেওয়ার মতো ঘটনা
ঘটছে; ফলে বহু আদিবাসী জীবন
বাঁচাতে মেঘালয়ে চলে গেছে। ফলে বাংলাদেশে গারোদের
সংখ্যা অতি নগন্য এবং সর্বশেষ
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে সোয়া লাখের মত গারো রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন