গারোদের জাতীয় মূল্যবোধঃ আজ কোন পথে...?
~~~~~~~~~~~~~~~
কোন ব্যক্তি বা জাতির মধ্যে ভালোমন্দ উভয় দিকই থাকতে পারে। সোয়েটার শীতের সময়ের জন্য ভালো, কিন্তু গরমকালের জন্য অনুপযুক্ত। সেকারণে সময়ের কথা ভেবে নিত্য নতুন পোষাক তৈরী হয়। মনকাড়া (অথবা কারোর অপছন্দের) ডিজাইনের, ফ্যাশনের জিনিস তৈরী হয়ে থাকে। কোন ব্যক্তি চিন্তা-চেতনা, চালচলন, আচার-ব্যবহার এবং জাতীর সংস্কৃতি, রীতিনীতিও এমনই। অতীতে যা ছিলো, তাঁদের দৃষ্টিকোনথেকে সেগুলোই তাঁদের কাছে উপযুক্ত, যৌক্তিক মনে হয়েছিলো। অথচ, আজ যা দেখছি, সময়ের বিবর্তনে সেগুলোই হয়তো আমাদের চোখে খারাপ, অনুপযুক্ত ভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
~~~~~~~~~~~~~~~
কোন ব্যক্তি বা জাতির মধ্যে ভালোমন্দ উভয় দিকই থাকতে পারে। সোয়েটার শীতের সময়ের জন্য ভালো, কিন্তু গরমকালের জন্য অনুপযুক্ত। সেকারণে সময়ের কথা ভেবে নিত্য নতুন পোষাক তৈরী হয়। মনকাড়া (অথবা কারোর অপছন্দের) ডিজাইনের, ফ্যাশনের জিনিস তৈরী হয়ে থাকে। কোন ব্যক্তি চিন্তা-চেতনা, চালচলন, আচার-ব্যবহার এবং জাতীর সংস্কৃতি, রীতিনীতিও এমনই। অতীতে যা ছিলো, তাঁদের দৃষ্টিকোনথেকে সেগুলোই তাঁদের কাছে উপযুক্ত, যৌক্তিক মনে হয়েছিলো। অথচ, আজ যা দেখছি, সময়ের বিবর্তনে সেগুলোই হয়তো আমাদের চোখে খারাপ, অনুপযুক্ত ভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
"গতকাল একটা পোস্টে বলেছিলাম, সংস্কৃতি (কর্ষণ/কালচার) একটি চলমান
প্রক্রিয়া। প্রক্রিয়াগত সূত্রেই যুগে যুগে সে পরিবর্তনশীল। শুধু গারো
জাতি/সমাজ কেন, পৃথিবীর সকল জাতি গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে একইভাবে স্রোত প্রবাহিত।
সেখানে উত্থান-পতন স্বাভাবিক; সাময়িক। আসলে আমরা কখন, কোনটাকে কম-বেশি
গুরুত্ব দিবো, কোনটা কার মনে ইতিবাচক হয়ে প্রকাশিত হয়, এর উপর নির্ভর করে,
সে ধারাটি কোনদিকে প্রবাহিত হচ্ছে।" অর্থাৎ সংস্কৃতির ধারানুযায়ী সে যুগে
যুগে পরিবর্তন হতেই থাকবে। আবার এই ধারাটি ভেঙ্গে (অনেকটা জোর করে) হলেও
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এরকম অনেক কিছুরই পরিবর্তন করতে হতে পারে, তা বোধয়
আমার মতো স্বীকার করার মতো মানুষও কম হবে না।
এবার আসল কথায় আসি। অন্যান্য জাতীর মতো গারোও একটা জাতি; যার আলাদা স্বত্বা, সংস্কার, রীতিনীতি রয়েছে। গারো জাতীর লোকেরাই গারো জাতীর স্বত্বা, সংস্কার, রীতিনীতিকে মোটেরওপর আর সহ্য করতে পারছেন না। শুধু তাই নয়, কতিপয় গারো ফেবুয়ানদের এবং তাদের সঙ্গীদের কথা/পোস্ট দেখে মনে হয়, তারা জীবনেও নিজেদের (এবং গারো জাতীর) মধ্যে ভালো কিছু কখনোই দেখেন নাই। যেকারণে যত্রতত্র জাতীর উপর অশ্রাব্য গালি উদ্গীরন করে পুরো জাতিকে (নাকি নিজেকেই) অন্যদের কাজে হেয় করছেন। তারা এতটাই উন্মত্ত হয়েছেন যে, কোথায় কি/কোন মন্তব্য করতে হয়, সে জ্ঞানটাও যে হারিয়ে ফেলেছেন- তা বলাই বাহুল্য। তাদের প্রতি আমার অনুরোধ, উদার, নিরপেক্ষ, ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সামনে পেছনে ভেবে কাজ করুন। এ গারো জাতি আমার আপনার সকলের। তাই নির্বিচারে জাতিকে হেয় করার প্রক্রিয়া বন্ধ করুন।
আমার বিশ্বাশ, প্রত্যাশা এই, মাটি দিয়ে ঘর-বাড়ি, বাসন-কোসন, খেলনাপাতি যাই বানাও/বানাই না কেন- সে মাটিই থাকে। মাটি দিয়ে অনেকেই দেবতার প্রতিমূর্তি বানালেই তা দেবতা হয়ে যায় না, মাটিই থাকে। সমাজ পরিবর্তনের ধারায় আমি এতটা হতাশ নই। কারণ, গারো জাতি গারোই থাকবে। আগেও গারো ছিলো, ভবিষ্যতেও থাকবে। অমাবস্যা রাত্রির অন্ধকার যতই হোক, সেই অন্ধকার ভেদ করে নতুন সূর্যের আগমন হবেই হবে...
এবার আসল কথায় আসি। অন্যান্য জাতীর মতো গারোও একটা জাতি; যার আলাদা স্বত্বা, সংস্কার, রীতিনীতি রয়েছে। গারো জাতীর লোকেরাই গারো জাতীর স্বত্বা, সংস্কার, রীতিনীতিকে মোটেরওপর আর সহ্য করতে পারছেন না। শুধু তাই নয়, কতিপয় গারো ফেবুয়ানদের এবং তাদের সঙ্গীদের কথা/পোস্ট দেখে মনে হয়, তারা জীবনেও নিজেদের (এবং গারো জাতীর) মধ্যে ভালো কিছু কখনোই দেখেন নাই। যেকারণে যত্রতত্র জাতীর উপর অশ্রাব্য গালি উদ্গীরন করে পুরো জাতিকে (নাকি নিজেকেই) অন্যদের কাজে হেয় করছেন। তারা এতটাই উন্মত্ত হয়েছেন যে, কোথায় কি/কোন মন্তব্য করতে হয়, সে জ্ঞানটাও যে হারিয়ে ফেলেছেন- তা বলাই বাহুল্য। তাদের প্রতি আমার অনুরোধ, উদার, নিরপেক্ষ, ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সামনে পেছনে ভেবে কাজ করুন। এ গারো জাতি আমার আপনার সকলের। তাই নির্বিচারে জাতিকে হেয় করার প্রক্রিয়া বন্ধ করুন।
আমার বিশ্বাশ, প্রত্যাশা এই, মাটি দিয়ে ঘর-বাড়ি, বাসন-কোসন, খেলনাপাতি যাই বানাও/বানাই না কেন- সে মাটিই থাকে। মাটি দিয়ে অনেকেই দেবতার প্রতিমূর্তি বানালেই তা দেবতা হয়ে যায় না, মাটিই থাকে। সমাজ পরিবর্তনের ধারায় আমি এতটা হতাশ নই। কারণ, গারো জাতি গারোই থাকবে। আগেও গারো ছিলো, ভবিষ্যতেও থাকবে। অমাবস্যা রাত্রির অন্ধকার যতই হোক, সেই অন্ধকার ভেদ করে নতুন সূর্যের আগমন হবেই হবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন