জারাম্বং
ফিডেল ডি সাংমা
বড় দাদা সালসেং- এর যখন লৌকিক বিয়ে হয়, তখন জারাম্বং-এর বয়স কতইবা- বড় জোড় চার কি পাঁচ। ওইটুকুন বয়সে বিয়ের আনন্দময় অনুষ্ঠানের স্মৃতি আজও উপভোগ্য। দাদা আর বৌদিকে পাশাপাশি বসিয়ে ইয়া পাগড়ি ওয়ালা পুরোহিত আচ্চু ‘দঃবুক দক্কা (এক প্রকার বিয়ে)’ বিয়ে দেয়ার সময় ধুরুম করে পিঠে বসিয়ে বলেছিলেন, ‘ইয়া হৈ- সালসেং নামিং হৈ, জানিরা নামিং হৈ…’। কক্ কক্ করা দু’টো মোরগের মাথা ছিঁড়ে দিয়েছিলেন দাদা ও বৌদির সামনে। তাদেরকে দুটো চাপড় দিয়ে আস্ত একটা মোরগ খাওয়াবে ভেবে দুষ্টু জারাম্বং মায়ের কোল থেকে নেমে বায়না ধরেছিল, ‘মা! আমিও একটা মোরগ নেবো.. ..’। বুড়ো পুরোহিত বলেছিলেন, ‘তাহলে যে তোমাকেও একটা কিল খেতে হবে’। সেদিন বহু কান্নাকাটি পিড়াপিড়ি করে একটা চাপড় খেয়ে ছোট্ট একটা মুরগী পেয়েছিল, তা দিব্যি মনে আছে তার। পরিণত বয়সে জারাম্বং-এর বিয়ে হল।
মাঝে মাঝে মাঝ রাতে অকারণে জারাম্বং-এর ঘুম ভাঙ্গে। তখন বাঁশের চাটাই দিয়ে তৈরী জানালাটা খুলে দেয় সে। তখন শীতল বাতাস মনে এনে দেয় ভাল লাগার ছোঁয়া। স্ত্রী ফোঁস করে শ্বাস ছেড়ে একটু নড়চড়া করে আবার ঘুমিয়ে পড়ে। চাঁদমাখা স্ত্রীর মুখে চাঁদের আলো লুটোপুটি খায়। স্ত্রী বেশ-চঞ্চলা রূপবতী। শুভ্র দাঁতগুলো বের করে ঝরণার মত কল-কল করে হাসতে পারে। স্ত্রীর বলগাহীন, খোলামেলা ভালবাসাকে মনে হয় লুকোচুরি। এমন ভালবাসা জারাম্বং-এর পছন্দ নয়। ভালবাসতে দেখেছে তার বৌদিকে। কি সুন্দর করে বলত, ‘এই, এদিকে এসো-তো বা শুনে যাও…’।
মাঝে মাঝে জারাম্বংকে বৌদি বলত, ‘আজ যা তোমাকে তোর নাম ধরে ডাকলাম, পরে কিন্তু আর ডাকব না’। ‘কেন-?’ শিশুসুলভ কন্ঠে জারাম্বং প্রশড়ব করে।
- কেন আবার, তুইতো আমার ইয়ে। আমাদের বিয়ের সময় তোমার দাদার সাথে তোমাকেও আমার সাথে ‘দঃবুক দক্কা’ বিয়ে দিয়েছে না? আস্ত একটা মোরগ খেয়ে এসব ভুলে গেলে চলবে?
- বেশ, তাহলে চল- কুয়ো থেকে আমার জন্য সড়বানের জল তুলে দেবে-
- শুধু জল তুলে দেব না, ঢেলেও দেব..
মাঝে মাঝে জারাম্বংকে বৌদি বলত, ‘আজ যা তোমাকে তোর নাম ধরে ডাকলাম, পরে কিন্তু আর ডাকব না’। ‘কেন-?’ শিশুসুলভ কন্ঠে জারাম্বং প্রশড়ব করে।
- কেন আবার, তুইতো আমার ইয়ে। আমাদের বিয়ের সময় তোমার দাদার সাথে তোমাকেও আমার সাথে ‘দঃবুক দক্কা’ বিয়ে দিয়েছে না? আস্ত একটা মোরগ খেয়ে এসব ভুলে গেলে চলবে?
- বেশ, তাহলে চল- কুয়ো থেকে আমার জন্য সড়বানের জল তুলে দেবে-
- শুধু জল তুলে দেব না, ঢেলেও দেব..
দিগম্বর হলে কি হয়, তখন সে জ্ঞানটুকুও ছিল না তার। বৌদি কী সব বলতে বলতে সারা শরীর ঘসে দিত। সেদিনের এসব স্মৃতিগুলো মনে হলে লজ্জায় জারাম্বং-এর মুখ লাল হয়ে যায়, বৌদির সামনে থেকে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। জারাম্বং আজও সেই ছোট্টটি থেকে গেলে কার এমন কি ক্ষতি হত, তা বিধাতাই জানেন।
স্বামীহারা মা বারান্দার পিড়িতে একাকী বসে তামাক টানতে টানতে জ্যোৎস্নার আলোয় এক মুখ ধোঁয়া ছাড়েন। সালসেং, জারাম্বং আর মাকে নিয়ে তিনজনের ছোট্ট সুখের সংসার ছিল। স্বামীর নাম জাংখা মারাক। পছন্দ করেই বিয়ে হয়েছিল তাদের। হতভাগা জারাম্বং যেদিন পৃথিবীর মুখ দেখল তার আগের দিন জঙ্গলে শিকার করতে গিয়ে হারিয়ে গেলেন। শিকার সঙ্গীরা সবাই ফিরে এলেন, জারাম্বং এর বাবা এলেন না। তিনি বেঁচে কি মরে গেছেন তাও আজ পর্যন্ত কেউ বলতে পারল না। বাবা না থাকায় সালসেংকেই সংসারের হাল ধরতে হল। সালসেং-এর জন্য ছোট মামার মেয়ে নীলাকে পছন্দ করে রেখেছিলেন তার মা। কিন্তু সালসেং একদিন ওয়ানগালা উৎসবে পছন্দ করে জানিরা নামের মেয়েটিকে বাগিয়ে এনেছে। মা চাইলেন না ‘থু-নাপা (এক প্রকার বিয়ে)’ প্রথায় ছেলে সংসারী হোক। তাই সামাজিকতা রক্ষা করতেই ‘দঃবুক দক্কা’ বিয়ে দিলেন। মেয়ে নাই বলে এ বাড়িতে কন্যা হিসাবে তার স্থান হল।
গত পনের বছরে জানিরার জীবনেও অনেক ঘটন-অঘটন ঘটে গেল। ইদানিং সে খুব বেশী নিঃসঙ্গতায় ভুগে। যেন কোথাও কেউ নেই। খা খা করা শুন্যতার দৃষ্টি নিয়ে নিসীম আকাশের দিকে চেয়ে থাকে। সে কবে কোন কুক্ষণে স্বামী সালসেং মারা গেলেন। লোকেরা বলল, ‘জাওয়ানী জাক্ (বান মারা/ যাদু টোনা করা)’। তিনি কোন সন্তান দিয়ে যেতে পারেন নি। তাই এতদিন দেবর জারাম্বং-কেই স্নেহ-আদর দিয়ে, কোলে পিঠে করে বড় করেছে জানিরা। বৌমার ভবিষ্যতের কথা ভেবে শাশুড়ী জানিরাকে আবার বিয়ে করতে বলেছিলেন। আর তা না হয় সে বাপের বাড়ি চলে যেতে পারে। তখন কোন প্রস্তাবেই রাজী হয়নি। বাকী দিনগুলো সালসেং-এর স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকতে চেয়েছে জানিরা। কিন্তু এখন পৃথিবীর সব কিছুই মূল্যহীন মনে হয় তার কাছে। উদার শাশুড়ী, স্বামী এবং জারাম্বংকে নিয়ে এতদিন ভালই তো ছিল।
শাশুড়ী পাশের ঘরে খুক-খুক করে কাঁশছেন। গর-গর করা তামাক টানার শব্দ বন্ধ হয়ে গেছে। কদিনে তিনিও অনেক বেশী বুড়িয়ে গেছেন। স্বামী মারা যাবার এক বছর পর জারাম্বং-ও বিয়ে করে শশুর বাড়ীতে ঘর-জামাই হয়েছে। ছেলে পরের বাড়ি জামাই গেলেও বেঁচে তো আছে, এটাই শাশুড়ীর একমাত্র সান্তনা। কিন্তু কী আছে জানিরার! কিসের জন্য তার বেঁচে থাকা। মানুষের জীবনটা কেন এমন হয়, এমনি হাজারো প্রশ্ন তার বুকের গভীরে গুমরে মরে- যার উত্তর সে খুঁজে পায় না।
বিয়ে আগেও একবার হয়েছিল জানিরার। সেই শৈশবে; যখন তার বয়স ছয় কি সাত। গোষ্ঠীর সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে জ্যাঠার মৃত্যুর পর দ্বিতীয় জামাই আনার সময় তাকেও আজং-এর সাথে অন্চাপা উপপত্নি করেছিল। ওটুকুন বয়সে কেই বা ভাল মন্দ বুঝে। দু’টুকরো বিস্কুট খাবার সুযোগ পাওয়াটাকেই বড় পাওয়া মনে হয়েছিল তার। সেরকম রেওয়াজ তো আছেই।
কিন্তু যাকে এতদিন পিতৃ স্থানীয় বলে জানত, আওয়াং (কাকা) বলে ডাকত; সেই লোকটা দশটি বছর পেরোবার আগেই জানিরাকে বয়স্ক করে দিল। অবশ্য একদিন এ পাষন্ড বুড়োটার জন্যই ওয়ান্গালাতে এসে সালসেং-এর সাথে দেখা। তারপরথেকেই সালসেং-এর বাড়িতে আছে সে।
সালসেং বেঁচে থাকতেও জানিরা আর জারাম্বং-কে নিয়ে সমাজে কম কানাঘুষা হয়নি। স্বামী শাশুড়ীর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, দেবরকে সন্তানের মতই ভালবাসে জানিরা। সালসেং-এর মৃত্যুর পর শেষ পর্গন্ত শাশুড়ীকে মাথা ঘামাতেই হল। সমাজের সমালোচনায় অতিষ্ট হয়ে জারাম্বং-কে বললেন, ‘তুই এখন আর সেই ছোট্টটি নোস, বড় হয়েছিস, তোকে এবার ঘর সংসার নিয়ে ভাবতে হবে। বৌমাকেও ডেকে দেবর ভাবীর সম্পর্কের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন এবং আগের মত আদর সোহাগ করতে নিষেধ করে দিলেন। কোনদিন তাদের সম্পর্কে কেউ এভাবে বলবে জানিরা তা ভাবেনি। কিন্তু শাশুড়ীর কথাগুলো শুনে জানিরার মন কেমন যেন করতে লাগল। শাশুড়ী সাবধান বাণী দিলেন না কি জানিরার হৃদয়ের অপ্রকাশিত কথাগুলো বের করে আনলেন তা ভেবে খুব অস্থিরতায় ভুগে সে। কি তার করা উচিত তা ভেবে পায় না জানিরা। হার্ট বিট বেড়ে দিগুণ হয়ে যায় তার। দূর হতে পাহাড়ী ঝরণার ঝর-ঝর শব্দে আবেগে আপ্লুত হয়। চোখে-মুখে অন্ধকার দেখতে থাকে সে। সে আলো-আঁধারিতে যেদিকে তাকায় সেদিকে ক্ষণে জারাম্বং-এর মুখ ক্ষণেই সালসেং-এর মুখ ভাসতে থাকে। এ মুহুর্তে সালসেং-এর রেখে যাওয়া সংসারটাকে তার সমাজ, আর জারাম্বং-কে একান্ত আপন মনে হয়।
আজ মাঝ রাতেই চাঁদের আলো ম্লান হয়ে এল। ছেঁড়া-ছেঁড়া মেঘের দল চাঁদের সাথে লুকোচুরি খেলছে। বারান্দার এক কোনে মাদুর বিছিয়ে আধ শোয়া অবস্থায় আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে সে। রাতের তারকা মেলায় তাদের আড্ডার গল্প আড়ি পেতে শোনার চেষ্টা করে জানিরা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ঘন ঘন হাই ওঠে চোখ পানি ভরে যাচ্ছে। গত কয়েক রাতের নির্ঘুম চোখ দ’টো ব্যথায় টন্ টন্ করছে। শাশুড়ী খুক-খুক করে কাশছেন। এক ঘুম দিলেন মনে হয়। জানিরাও মাদুরটা হাতে তুলে নেয়, এবার তারও ঘুমানোর চেষ্টা করা উচিত। এভাবে আর কতদিন। দরজাটা বন্ধ করে শুতে যাবে এমন সময় কারোর পায়ের শব্দ শুনতে পায় জানিরা। ঠক্-ঠক্ করে শব্দ হয়। শব্দটা দরজায় না তার হৃদপিন্ডে তা বুঝার আগেই আর একবার শব্দ হয়-‘ ঠক্-ঠক্ ঠক্-ঠক্’। কুপিটা ধরিয়ে জিজ্ঞেস করে জানিরা, ‘কে..?’ বাইরে থেকে কোন উত্তর আসে না। আবার জিজ্ঞেস করলে উত্তরে খুব সাবধানে আস্তে করে কাশি শোনা যায়। আস্তে করে দরজা খুলে দেখে অনতি দূরে দাঁড়িয়ে জারাম্বং। একটু আগেও বার বার কেন জানি তার মন বলছিল, আজ সে আসতে পারে। কি ভাবে তার অনুমান সত্যি হল তা ভেবে অবাক হয় জানিরা। জারাম্বং কি মাতাল! ‘এত রাতে তুমি? মাতো অনেক আগেই ঘুমিয়ে পড়েছে, ডেকে দেবো?’ কাঁপা কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করে জানিরা। ‘না, আমি শুধু তোমার কাছে এসেছি’ -বলেই ভেতরে ঢুকে পড়তে চায় জারাম্বং।
- কেন..?
- আমি ওই ঘর সংসার ত্যাগ করে তোমার কাছে চলে এসেছি। তোমাকে ছাড়া আমি..
- কি বলছ তুমি, এটা কি করে সম্ভব। তুমি পাগল হয়ে গেছ। ইদানিং মদ খেলে তোমার আর হুঁশ থাকে না, তাই না?
- কেন নয়, তুমিই না আগে বলতে সেদিনই আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে। দাদা নেই, তুমি আর মা এই সংসারে কেমন করে থাকবে বল? একদিকে মা আর একদিকে তুমি, তোমাদের কষ্ট আমি সহ্য করতে পারছি না।
- কেন..?
- আমি ওই ঘর সংসার ত্যাগ করে তোমার কাছে চলে এসেছি। তোমাকে ছাড়া আমি..
- কি বলছ তুমি, এটা কি করে সম্ভব। তুমি পাগল হয়ে গেছ। ইদানিং মদ খেলে তোমার আর হুঁশ থাকে না, তাই না?
- কেন নয়, তুমিই না আগে বলতে সেদিনই আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে। দাদা নেই, তুমি আর মা এই সংসারে কেমন করে থাকবে বল? একদিকে মা আর একদিকে তুমি, তোমাদের কষ্ট আমি সহ্য করতে পারছি না।
কিংকর্তব্যবিমূঢ় জানিরা। তার বুকের শুন্যতা দিগুণ বেড়ে গেল যেন। হৃদপিন্ডের গায়ে রক্ত কণিকাগুলো দর-দর করে দেহের প্রতিটি শিরায় আছড়ে পড়ছে। যার আসার পথ চেয়ে কেটেছে বৈধব্য জীবনের প্রতিটি মূহুর্ত, স্বপ্ন দেখেছে একটু ভালবাসার স্পর্শ পাওয়ার, শুধু একটিবার ‘আমি তোমাকে ভালবাসি’ কথাটি শোনার অধীর আগ্রহে বাতাসের কাছে কান পেতেছে-, সেই আজ তার সামনে দাঁড়িয়ে। কিন্তু শাশুড়ী কখন যে পেছনে এসে রাতের ঘুট-ঘুটে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে সব শুনলেন, টের পায়নি জানিরা। পাথর চাঁপা দেওয়া হৃদয়ের জমাট বাঁধা কষ্টগুলো ঝরণার মত তীব্র বেগে ছুটে বের হয়ে আসতে চায়। কিন্তু বাঁধা পড়ে যায় সংসার সমাজের মায়াজালে। চোখের সামনে ভাসতে থাকে স্বামী সালসেং-এর করুণ মুখ। যে স্বামীকে প্রাণের চেয়ে বেশী ভালবাসত। যার ভালবাসা পাওয়ার জন্য পৃথিবীর তাবৎ সুখ নিমিষে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে শত দুঃখ-কষ্ট হাসি মুখে বরণ করে নিতে পারত। জানিরা আর কিছু ভাবতে পারে না। চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছে, মাথাটা তার ভীষণ ভাবে ঘুরছে। পড়ে যাবে কিনা বুঝতে পারছে না। কারোর কিছু বলার আগেই খট্ করে দরজাটা বন্ধ করে দেয় জানিরা। এমনি করে তার ভালবাসার দরজা বন্ধ করে দিতে হয়; চির জীবনের জন্য। পাহাড়ি ঝরণার মত বুক চিরে কান্না আসে জানিরার। ভেতরের বাঁধ ভাঙ্গা কান্না দমিয়ে রাখতে গিয়ে ডান পাশের বুকটা ব্যথায় চিন্-চিন্ করে ওঠে। এ মূহুর্তে জ্ঞান হারাবে কিনা বুঝতে পারছে না সে। তবুও জানিরা নিঃশব্দে কান পেতে থাকে। এক সময় জারাম্বং-এর পায়ের আওয়াজটা অন্ধকারে মিলেয়ে গেল….।
শব্দার্থ/ টীকা- সালসেং = আলোকময়/ উজ্জ্বল (নাম)। জারাম্বং = চাঁদের আলো/ জোৎস্না (নাম)। জানিরা = আয়না (নাম)। দঃবুক দক্কা = গারোদের এক প্রকার বিয়ে।
ইয়া হৈ- সালসেং নামিং হৈ, জানিরা নামিং হৈ = এটা বিয়ের মন্ত্র। অর্থ – ‘সালসেং-এর সাথে জানিরার আজ বিয়ে হচ্ছে…’ ওয়াংগালা = গারোদের ফসলাদি ঘরে তোলার পর দেবতার উদ্দেশ্যে ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ফসল উৎসর্গ করার উৎসব।
ইয়া হৈ- সালসেং নামিং হৈ, জানিরা নামিং হৈ = এটা বিয়ের মন্ত্র। অর্থ – ‘সালসেং-এর সাথে জানিরার আজ বিয়ে হচ্ছে…’ ওয়াংগালা = গারোদের ফসলাদি ঘরে তোলার পর দেবতার উদ্দেশ্যে ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ফসল উৎসর্গ করার উৎসব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন