দৃষ্টিপাত-৪ঃ মানুষ বনসাই, নাকি হাইব্রিড?
.................
বনসাই গাছ দেখলে আমার বড্ড মায়া লাগে। মনে হয় কি নিদারুণ যন্ত্রণা নিয়ে আত্মরক্ষায় নিরুপায় জীবনকে মেনে নিয়ে অসহায় ভাবে ছোট্ট একটা টবের উপর দাঁড়িয়ে আছে, কোনরকমে বেঁচে আছে। স্বার্থবাদি মানুষ উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে, নিজেদের মনোরঞ্জনের জন্য এ বনসাইদের জোর করে চাপিয়ে রেখেছে। চিরজীবনের জন্য ছোট করে রেখেছে। প্রাকৃতিকভাবে, স্বাভাবিকভাবে এদের বেড়ে ওঠার উপায় নেই; অন্যান্য গাছের মত বড় হওয়ার অধিকার নেই, এরা যেন বঞ্চিত জাতি। বাংলাদেশ সরকার এবং বৃহত্তর নৃগোষ্ঠী (নৃগোষ্ঠী= নৃবিজ্ঞানের ভাষায় মানুষ) যেভাবে চাকমা, মার্মা, গারোদের মত প্রায় ৪৫টি জাতিকে উপজাতি (এখন আবার নৃগোষ্ঠী) করে রাখতে চেয়েছে- বনসাই প্রক্রিয়াকেও আমাকে কাছে ঠিক তেমনই মনে হয়। বনসাই-এর নামে একেকটা জাতের বৃক্ষকে উপজাতিকরণের অপপ্রয়াস!
শুনেছি, হাইব্রিডটাও তেমনই; দ্রুত বর্ধনশীল অথচ ক্ষণস্থায়ী, সামান্য ব্যাতিক্রমেই রোগাক্রান্ত বা বিনষ্ট হয়ে যায়। তারপরেও মানুষের দৃষ্টি হাইব্রিডটার দিকে। মানুষ ঝুকেছে স্বল্প মূল্যে বেশি লাভের আশায়। অথচ গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে- হাইব্রিড চিকেন, ফলমূল, শাকসবজি খেয়ে মানুষ তথা প্রাণীকুল শারীরিক ও মানসিকভাবে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জড়িত হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য যে, মানুষ লোভ আর লাভের আশায় LOVE- কে চিতার আগুনে পুড়ে অংগার করে দিয়ে চলেছি। হাইব্রিডটার দিকেও আমাদের দৃষ্টি প্রসারিত।
আগামী ৫০ বছর পর মানুষ কি প্রকৃত মানুষ থাকবে? নাকী মানুষও বনসাই কিংবা হাইব্রিড পরিণত হয়ে যাবে? আমরাতো কেউই ব্যাক্তি, পরিবার, দেশ ও সমাজে অন্যায় অবিচার, দুর্নীতি, হত্যাযজ্ঞ, রক্তারক্তি হোক, তা চাই না। তবে মানুষ কি পারে না মানুষের নেতিবাচক দিকগুলোকে বনসাই রূপ দিতে এবং মনের ইতিবাচক দিকগুলোকে হাই করে তুলতে? হাইব্রিড যদি করতেই হয়, তাহলে আসুন সকলে মিলে আমাদের সুস্থ্য মন মানসিকতাকে হাই করে তুলি। আমরা কতজন প্রস্তুত আছি...?
।।ফিডেলডিসাংমা, ৫ এপ্রিল/১৫।।
.................
বনসাই গাছ দেখলে আমার বড্ড মায়া লাগে। মনে হয় কি নিদারুণ যন্ত্রণা নিয়ে আত্মরক্ষায় নিরুপায় জীবনকে মেনে নিয়ে অসহায় ভাবে ছোট্ট একটা টবের উপর দাঁড়িয়ে আছে, কোনরকমে বেঁচে আছে। স্বার্থবাদি মানুষ উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে, নিজেদের মনোরঞ্জনের জন্য এ বনসাইদের জোর করে চাপিয়ে রেখেছে। চিরজীবনের জন্য ছোট করে রেখেছে। প্রাকৃতিকভাবে, স্বাভাবিকভাবে এদের বেড়ে ওঠার উপায় নেই; অন্যান্য গাছের মত বড় হওয়ার অধিকার নেই, এরা যেন বঞ্চিত জাতি। বাংলাদেশ সরকার এবং বৃহত্তর নৃগোষ্ঠী (নৃগোষ্ঠী= নৃবিজ্ঞানের ভাষায় মানুষ) যেভাবে চাকমা, মার্মা, গারোদের মত প্রায় ৪৫টি জাতিকে উপজাতি (এখন আবার নৃগোষ্ঠী) করে রাখতে চেয়েছে- বনসাই প্রক্রিয়াকেও আমাকে কাছে ঠিক তেমনই মনে হয়। বনসাই-এর নামে একেকটা জাতের বৃক্ষকে উপজাতিকরণের অপপ্রয়াস!
শুনেছি, হাইব্রিডটাও তেমনই; দ্রুত বর্ধনশীল অথচ ক্ষণস্থায়ী, সামান্য ব্যাতিক্রমেই রোগাক্রান্ত বা বিনষ্ট হয়ে যায়। তারপরেও মানুষের দৃষ্টি হাইব্রিডটার দিকে। মানুষ ঝুকেছে স্বল্প মূল্যে বেশি লাভের আশায়। অথচ গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে- হাইব্রিড চিকেন, ফলমূল, শাকসবজি খেয়ে মানুষ তথা প্রাণীকুল শারীরিক ও মানসিকভাবে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জড়িত হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য যে, মানুষ লোভ আর লাভের আশায় LOVE- কে চিতার আগুনে পুড়ে অংগার করে দিয়ে চলেছি। হাইব্রিডটার দিকেও আমাদের দৃষ্টি প্রসারিত।
আগামী ৫০ বছর পর মানুষ কি প্রকৃত মানুষ থাকবে? নাকী মানুষও বনসাই কিংবা হাইব্রিড পরিণত হয়ে যাবে? আমরাতো কেউই ব্যাক্তি, পরিবার, দেশ ও সমাজে অন্যায় অবিচার, দুর্নীতি, হত্যাযজ্ঞ, রক্তারক্তি হোক, তা চাই না। তবে মানুষ কি পারে না মানুষের নেতিবাচক দিকগুলোকে বনসাই রূপ দিতে এবং মনের ইতিবাচক দিকগুলোকে হাই করে তুলতে? হাইব্রিড যদি করতেই হয়, তাহলে আসুন সকলে মিলে আমাদের সুস্থ্য মন মানসিকতাকে হাই করে তুলি। আমরা কতজন প্রস্তুত আছি...?
।।ফিডেলডিসাংমা, ৫ এপ্রিল/১৫।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন