দৃষ্টিপাতঃ ২, যত দোষ- নন্দ ঘোষের!
(প্লিজ, না পড়ে লাইক দিবেন না। মন্তব্য না হলেও চলবে)
~~~~~~~~~~~~~~~
“টাঙ্গাইলের মধুপুরে ২১৮ লিটার মদসহ দুই নারী আটক”- টাঙ্গাইল বার্তা।
উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো খবর বটে। তবে, এ আটককৃত লোকেরা পুনরায় এ মদের ব্যবসায় নামবে না, এর নিশ্চয়তা কোথায়? আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে মনে হয়, এরা এই ব্যবসা ছাড়বে না, ছাড়তে পারবে না। কারণ, এই ব্যবসার পেছনে অনেক ডোনার থাকে; যারা নিজেরাই এসব মদের ভোক্তা। দরিদ্র ঋষি পরিবার বা এলাকার অন্যান্য আদিবাসীরা নিজেদের ব্যবহারের জন্য মদ কিনে না, কেনার সাধ্যও নাই তাদের। কোন না কোনভাবে এসব দরিদ্র পরীবারকে ফুসলিয়ে, টাকার লোভ দেখিয়ে এদের এব্যবসায় নামতে বাধ্য করা হয়েছে। আর এরাও পেটের দায়ে মদের ব্যবসা চালিয়ে গেছে এবং চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ এসব মদের ভোক্তা কারা তাকি প্রশাসন জানে না? এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এব্যবসা চলছে, সেহেতু, প্রশাসনের জানার কথা। কারণ মন্ত্রণালয় এসব দুর্নীতিরোধে করণীয় সমস্ত প্রশিক্ষণ দিয়েই প্রশাসনে রেখেছে। তারপরও যারা ভোক্তা, প্রশাসন তাদের ধরবে না।
এইসব মাদকসেবীর দলের কোন ধর্ম নাই, দ্বিধা নাই। ধর্মীয় পাপ-পূণ্য বা হারাম হালালের ভাবনাও নাই। এরা সব জায়গায়, সব সমাজে বসে মদ খেতেও পারেন । কারণ, এরা এলাকার প্রভাবশালী, অর্থ-সম্পদশালী লোক; বড় বড় রাজনীতি দলের সোনার টুকরা কিংবা সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত পরিবারের হবু আদর্শ নেতা। যারা রাষ্ট্রীয় এবং ধর্মীয় আইনের চোখে ধূলো দিয়ে অথবা প্রশাসনের লোকদের সাথে হাত মিলিয়ে এসব করেন এবং কোনোভাবে ফাঁদে পড়লেও যারা একটি দুটি ফোন ওর্ডারের মাধ্যমে ছাড়া পেয়ে যান। আর এসব লোকদেরকেও মহান সাংবাদিকেরাও দেখেন না? এটার উত্তরও হ্যাঁবোধকই হবে। কিন্তু উনাদের এসব কীর্তিকাণ্ডের খবর ছাপানো হয় না, ছাপানো যাবে না, কারণটাও জানা- এসব মানী লোকদের পেছনে লাগতে গেলে সাংবাদিক, রিপোর্টারদের জীবন আর পেশা দুটোই হুমকীর মুখে পড়তে হয়।
মদের ব্যবসা বা মদ পান করা কোনটাই ভালো নয়। ব্যক্তি, সমাজ এবং দেশ ও জনগণের জন্য ক্ষতিকর। তাই সমাজথেকে ক্ষতিকর বিষয়টি বন্ধ করতে হলে এসবের দরিদ্র ব্যবসায়ীদের ভালো কোন কাজে প্রশিক্ষণদানের মাধ্যমে, ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে পুনর্বাসন করা উচিত। আর কাজের উদ্যোগটি নিতে পারেন সরকার এবং বেসরকারি সাহায্য সংস্থা, সমাজের প্রভাবশালী, অর্থ-সম্পদশালী এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ।
পৃথিবীর সকল মানুষের মঙ্গল হোক।
।।ফিডেলডিসাংমা।। ৪মার্চ,২০১৫।।
~~~~~~~~~~~~~~~
“টাঙ্গাইলের মধুপুরে ২১৮ লিটার মদসহ দুই নারী আটক”- টাঙ্গাইল বার্তা।
উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো খবর বটে। তবে, এ আটককৃত লোকেরা পুনরায় এ মদের ব্যবসায় নামবে না, এর নিশ্চয়তা কোথায়? আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে মনে হয়, এরা এই ব্যবসা ছাড়বে না, ছাড়তে পারবে না। কারণ, এই ব্যবসার পেছনে অনেক ডোনার থাকে; যারা নিজেরাই এসব মদের ভোক্তা। দরিদ্র ঋষি পরিবার বা এলাকার অন্যান্য আদিবাসীরা নিজেদের ব্যবহারের জন্য মদ কিনে না, কেনার সাধ্যও নাই তাদের। কোন না কোনভাবে এসব দরিদ্র পরীবারকে ফুসলিয়ে, টাকার লোভ দেখিয়ে এদের এব্যবসায় নামতে বাধ্য করা হয়েছে। আর এরাও পেটের দায়ে মদের ব্যবসা চালিয়ে গেছে এবং চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ এসব মদের ভোক্তা কারা তাকি প্রশাসন জানে না? এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এব্যবসা চলছে, সেহেতু, প্রশাসনের জানার কথা। কারণ মন্ত্রণালয় এসব দুর্নীতিরোধে করণীয় সমস্ত প্রশিক্ষণ দিয়েই প্রশাসনে রেখেছে। তারপরও যারা ভোক্তা, প্রশাসন তাদের ধরবে না।
এইসব মাদকসেবীর দলের কোন ধর্ম নাই, দ্বিধা নাই। ধর্মীয় পাপ-পূণ্য বা হারাম হালালের ভাবনাও নাই। এরা সব জায়গায়, সব সমাজে বসে মদ খেতেও পারেন । কারণ, এরা এলাকার প্রভাবশালী, অর্থ-সম্পদশালী লোক; বড় বড় রাজনীতি দলের সোনার টুকরা কিংবা সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত পরিবারের হবু আদর্শ নেতা। যারা রাষ্ট্রীয় এবং ধর্মীয় আইনের চোখে ধূলো দিয়ে অথবা প্রশাসনের লোকদের সাথে হাত মিলিয়ে এসব করেন এবং কোনোভাবে ফাঁদে পড়লেও যারা একটি দুটি ফোন ওর্ডারের মাধ্যমে ছাড়া পেয়ে যান। আর এসব লোকদেরকেও মহান সাংবাদিকেরাও দেখেন না? এটার উত্তরও হ্যাঁবোধকই হবে। কিন্তু উনাদের এসব কীর্তিকাণ্ডের খবর ছাপানো হয় না, ছাপানো যাবে না, কারণটাও জানা- এসব মানী লোকদের পেছনে লাগতে গেলে সাংবাদিক, রিপোর্টারদের জীবন আর পেশা দুটোই হুমকীর মুখে পড়তে হয়।
মদের ব্যবসা বা মদ পান করা কোনটাই ভালো নয়। ব্যক্তি, সমাজ এবং দেশ ও জনগণের জন্য ক্ষতিকর। তাই সমাজথেকে ক্ষতিকর বিষয়টি বন্ধ করতে হলে এসবের দরিদ্র ব্যবসায়ীদের ভালো কোন কাজে প্রশিক্ষণদানের মাধ্যমে, ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে পুনর্বাসন করা উচিত। আর কাজের উদ্যোগটি নিতে পারেন সরকার এবং বেসরকারি সাহায্য সংস্থা, সমাজের প্রভাবশালী, অর্থ-সম্পদশালী এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ।
পৃথিবীর সকল মানুষের মঙ্গল হোক।
।।ফিডেলডিসাংমা।। ৪মার্চ,২০১৫।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন