বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৫

দৃষ্টিপাতঃ আমার ধারাপাঠ

দৃষ্টিপাত ১ঃ  আমার ধারাপাঠ
---------------------------
বোধকরি, অদ্যাবধি লাল সবুজের বাংলাদেশ তথা বিশ্ব ভ্রহ্মাণ্ডে পাপ পঙ্কিলতায় পরিপূর্ণ হইয়া উঠে নায়। আমার ধারণা, “এমন একটা দিন আবো, যেদিন বেক্কে মিইল্যা আনন্দমেলার ন্যালা এই দ্যাশের মানুষ এহই থালায় কইরা হাসতে হাসতে মজার সালুন দিয়া বিরিয়ানি-বাত নিজেও খাবো, আর আরেকজুনরেও খিলাবো”- এইরূপ বিশ্বাস-বাসনা পোষণকারী কিছু শান্তিপ্রিয় মানুষ মহাবিশ্বে এখনও বিদ্যমান। যাহারা মানুষের সহিত যাচিয়া মাগিয়া বিবাদ বাঁধাইতে, লাগাইতে যান না, কিংবা সেরূপ মনোবৃত্তি রাখিয়া চলেন না। পারতপক্ষে ইহারা সমূহ গ্যাঞ্জাম এড়াইয়া চলিবার লক্ষ্যে নিরন্তর সকলের সহিত সমহারে সদাচরণ করিবার অকৃত্রিম বাসনা লইয়া, রামধনু পণ করিয়া নিত্য প্রভাতে সৃষ্টিকর্তার নিকটে মিনতি করিয়া আপন কর্মে মনোনিবেশ করিয়া থাকেন। মূলতঃ ইহারা পরচর্চা, পরনিন্দাকে অতিশয় ঘৃণা করিয়া থাকেন।

তথাপি পরিতাপের বিষয় যে, কিছু মানুষের কর্মকাণ্ড দেখিয়া, ইহাদের আচরণ এবং মতবিনিময়-বাদানুবাদ শুনিয়া, বুঝিয়া বোধ হয় ইহারা খুবই গ্যাঞ্জামপ্রিয়। মনে হইবে ইহারা দুয়েকদিন যৎসামান্য গ্যাঞ্জামে জীবন অতিবাহিত করিতে না পারিলে উনাদের দেহ ও মনের বলশক্তির অপপ্রয়োগ ঘটিতেছে কিংবা উদরের অন্ন হজমে ব্যাঘাত ঘটিবেক। এই কারণে ইহারা শান্তিপ্রিয় মানুষদের পেছনে তাড়া করিয়া দিনযাপন সর্বোত্তম মনে করিয়া থাকেন। ফলে ইহারা নিত্য নিত্য আপন পেশীশক্তি প্রদর্শণপূর্বক শান্তিপ্রিয় মানুষের পশ্চাদদেশে বাঁশ দিবার, দূর্বলদের ভাড়াভাতে ভস্ম প্রদান করিবার, সহস্র ভুখা-নাঙ্গা মানুষের লালরক্ত ঝরাইবার মনোবৃত্তি লইয়া উহাদের সৃষ্টিকর্তার নিকটে মিনতি করিতে করিতে রাজপথে বাহির হন। ইহাদের পর্যবেক্ষণে মনে হইবে যেন- " ঐ শালা নিরামিষ, ক্ষ্যাপ, আমার বোগলে আয়। তুই কাইজ্জা করবি না ক্যা, দ্যাখ তুই... এই মারলাম খোঁচা, বাঁশ, লাথি, গুত্তা, গুলি, বোমা" বলিয়া ইহারা সাধ্যানুযায়ী আপন মহিমা প্রকাশ করিয়া থাকেন।

।।ফিডেলডিসাংমা।। তাখিখঃ ১ মার্চ, ২০১৫

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন