\\দৃষ্টিভঙ্গি//>
ফরিদ সাহেব(ছদ্মনাম) একটি এনজিওর কর্মকর্তা অনেকদিন ধরেই অসুস্থ্য। প্রচন্ড ব্যাথায় মন মেজাজ বিগড়ে আছে তাঁর। ভীষণ অস্বস্তি নিয়ে সময়ের আগেই অফিসথেকে ছুটি নিয়ে ফিরছেন। তিনি ভাবছেন, রিক্সায় উঠতে পারবেন না কিছুতেই; একটা ভ্যান পেলে ভালো হয়। একবারে পেইনকিলার অষুধ কিনে তবেই বাসায় যেতে হবে।
এই কর্মকর্তাকে এলাকার লোকজন অনেকেই ভালো বলেই জানেন। হঠাৎ সামনে দাঁড়িয়ে গেলো একজন বৃদ্ধ-পঙ্গু-ভিক্ষুক। একটা মাত্র পা; হাত নেই। ভিক্ষুক বললেন, স্যার, আমি ফরিদ স্যারের কাছে যাইতাম, আমারে একটু দ্যাহায়া দিবাইন?
- কেনো ?
- উনি ভালো একজন মানুষ, দান খয়রাত করেন। ফিতরার জন্য আইছি।
- সে যে দান খয়রাত করে কথাটা আপনাকে কে বলেছে?
- আমি হুনছি, আগেও মনে অয় একবার দিছিলো। স্যার আমি গরীব পঙ্গু মানুষ...
ইতস্ত করতে করতে অফিসারটির মুখখানা বাংলার পাঁচের মত হয়ে গেলো। কি করা যায় এখন? এদিকে নিজেরই কাহিল অবস্থা। পকেটেও দুইটি একহাজার টাকার নোট। রিক্সা ভাড়ার জন্য দশটাকার মত আছে। তাই মুখ দিয়ে ফস্কে বেরিয়ে গেল কথাটা, ‘মুরুব্বি- আজকে উনি নাই, অসুস্থ্য, পরে আসেন’। দশটাকার নোটটি দিয়ে কেটে পড়া ছাড়া উপায় কি! এদিকে নিজেই দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না।
- স্যারে কবে ফিরবো, স্যার...?
- জানি না, পরে একদিন আসলেই হবে
- তাইলে কেমন কইরা খবর পামু স্যার?
পেছনথেকে কেউ একজন তিরস্কারের স্বরে বলে উঠলো, ‘উমমম, দ্যাখছেন, তারে খুঁইজ্জা আইন্যা ভিক্ষা দিওন লাগবো...’। মহা বিরক্তি এসে গেলো কর্মকর্তার নিজেরও। কোন রকম নিজেকে সংযত রেখে পকেট থেকে দশটাকার নোটটি ভিক্ষুকের হাতে গুজে দিয়ে কর্মকর্তাটি বললেন, এই নেন, আসি...’। পেছনথেকে ভিক্ষুকটি বিড়বিড় করে বলছে, ‘আল্লাহ, ঈদের আগে যেনো ফরিদ স্যারের দেখা পাই, আল্লাহ তারে তাড়াতারী সুস্থ্য কইরা দাও...’।
আজ অনেকদিন পর আবার সেই ভিক্ষুকের সাথে দেখা। যার একটা মাত্র পা; হাত নেই.. কেউ নেই !
আমরা পঙ্গু বলে যাদের দূরে রাখি, সাহায্য দেবার বদলে উপহাস, অবজ্ঞা, উপেক্ষা করি। তবে পঙ্গু কে? এই লোকটি; নাকি আমাদের মানসিকতা
ফরিদ সাহেব(ছদ্মনাম) একটি এনজিওর কর্মকর্তা অনেকদিন ধরেই অসুস্থ্য। প্রচন্ড ব্যাথায় মন মেজাজ বিগড়ে আছে তাঁর। ভীষণ অস্বস্তি নিয়ে সময়ের আগেই অফিসথেকে ছুটি নিয়ে ফিরছেন। তিনি ভাবছেন, রিক্সায় উঠতে পারবেন না কিছুতেই; একটা ভ্যান পেলে ভালো হয়। একবারে পেইনকিলার অষুধ কিনে তবেই বাসায় যেতে হবে।
এই কর্মকর্তাকে এলাকার লোকজন অনেকেই ভালো বলেই জানেন। হঠাৎ সামনে দাঁড়িয়ে গেলো একজন বৃদ্ধ-পঙ্গু-ভিক্ষুক। একটা মাত্র পা; হাত নেই। ভিক্ষুক বললেন, স্যার, আমি ফরিদ স্যারের কাছে যাইতাম, আমারে একটু দ্যাহায়া দিবাইন?
- কেনো ?
- উনি ভালো একজন মানুষ, দান খয়রাত করেন। ফিতরার জন্য আইছি।
- সে যে দান খয়রাত করে কথাটা আপনাকে কে বলেছে?
- আমি হুনছি, আগেও মনে অয় একবার দিছিলো। স্যার আমি গরীব পঙ্গু মানুষ...
ইতস্ত করতে করতে অফিসারটির মুখখানা বাংলার পাঁচের মত হয়ে গেলো। কি করা যায় এখন? এদিকে নিজেরই কাহিল অবস্থা। পকেটেও দুইটি একহাজার টাকার নোট। রিক্সা ভাড়ার জন্য দশটাকার মত আছে। তাই মুখ দিয়ে ফস্কে বেরিয়ে গেল কথাটা, ‘মুরুব্বি- আজকে উনি নাই, অসুস্থ্য, পরে আসেন’। দশটাকার নোটটি দিয়ে কেটে পড়া ছাড়া উপায় কি! এদিকে নিজেই দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না।
- স্যারে কবে ফিরবো, স্যার...?
- জানি না, পরে একদিন আসলেই হবে
- তাইলে কেমন কইরা খবর পামু স্যার?
পেছনথেকে কেউ একজন তিরস্কারের স্বরে বলে উঠলো, ‘উমমম, দ্যাখছেন, তারে খুঁইজ্জা আইন্যা ভিক্ষা দিওন লাগবো...’। মহা বিরক্তি এসে গেলো কর্মকর্তার নিজেরও। কোন রকম নিজেকে সংযত রেখে পকেট থেকে দশটাকার নোটটি ভিক্ষুকের হাতে গুজে দিয়ে কর্মকর্তাটি বললেন, এই নেন, আসি...’। পেছনথেকে ভিক্ষুকটি বিড়বিড় করে বলছে, ‘আল্লাহ, ঈদের আগে যেনো ফরিদ স্যারের দেখা পাই, আল্লাহ তারে তাড়াতারী সুস্থ্য কইরা দাও...’।
আজ অনেকদিন পর আবার সেই ভিক্ষুকের সাথে দেখা। যার একটা মাত্র পা; হাত নেই.. কেউ নেই !
আমরা পঙ্গু বলে যাদের দূরে রাখি, সাহায্য দেবার বদলে উপহাস, অবজ্ঞা, উপেক্ষা করি। তবে পঙ্গু কে? এই লোকটি; নাকি আমাদের মানসিকতা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন